আরণ্যক বিভূতিভূষণের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা। এটি তাঁর চতুর্থ উপন্যাস যা ১৯৩৯ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারে তার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে উপন্যাসটি রচনা করেন। মূল বাংলা ছাড়াও আরণ্যক সাহিত্য আকাদেমির প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত করা হয়েছে। যেমন, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি, মারাঠী, মালয়ালম, পাঞ্জাবী এবং হিন্দি। উপন্যাসের নায়ক সত্যচরণ নামে এক যুবকের পনেরো-ষোলো বছর পূর্বের স্মৃতিচারণে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী। পথের পাঁচালী’ রচনার সময় অর্থাৎ ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাগলপুরে থাকাকালীন তিনি ‘আরণ্যক’ লেখার পরিকল্পনা করেন। ঐ সময় বছর চারেক পাথুরিয়িঘাটা এস্টেটের সহকারী ম্যানেজার হিসাবে ইসমাইলপুর এবং আজমাবাদের অরণ্য-পরিবেশে থাকার ফলে আজন্ম প্রকৃতির পূজারী বিভূতিভূষণ অরণ্যের নানা বিষয়ে পর্যবক্ষেণ করেন। তার প্রকৃতি প্রেম আরও প্রগাঢ় হয়। তাঁর এই দিনলিপির কিছু উদ্ধৃতির সাথে ‘আরণ্যক’ উপন্যাসের ভাবগত আশ্চর্য সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
Reviews
There are no reviews yet.